রাজ্যে অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড নিয়ে বড়ো সুখবর দিলো খাদ্যদপ্তর
সবার পছন্দের একটি রেশন কার্ড যেটা সবাই নিতে চায় তা হলো অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড | এই রেশন কার্ড থাকলে একটি পরিবার প্রচুর রেশন পেয়ে থাকেন | সেই রেশন কার্ড এখন রাজ্যে প্রায় ৬৫ হাজার পরিবার পেতে চলেছে | আসলে এই রেশন কার্ডের একটি রাজ্য ভিত্তিক কোটা ঠিক করা থাকে, যতক্ষণ এ পর্যন্ত এই কোটা খালি হয় ততক্ষন পর্যন্ত আর বাকি কেউ এই রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন না | তাই কেউ যদি সত্যিকারের প্রাপ্য হয়েও থাকেন, এই রেশন কার্ডের জন্য তবুও এই কার্ড পাওয়া মুশকিল, কারণ কোটা খালি না থাকলে এই কার্ড পাওয়া যায় না |
এই রেশন কার্ডের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয় | একমাত্র খুবই অসহায় ও কর্মহীন পরিবার এই কার্ডের জন্য যোগ্য | বেশি দরিদ্র পরিবারগুলি জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় থাকা অন্ত্যোদয় রেশন কার্ড পেয়ে থাকে | খাদ্যদপ্তর সম্প্রতি একটি বৈঠকে জেলা প্রশাসনগুলিকে এই ধরণের পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করে তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে | জাতীয় প্রকল্পের আওতায় থাকা রেশন কার্ড গুলির মধ্যে অন্ত্যোদয় গ্রাহকরা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে | অন্ত্যোদয় ছাড়া অন্যদের জন্য মাসে মাথা পিছু ৫ কেজি করে চাল-গম বিনা পয়সায় বরাদ্দ থাকে | সেখানে অন্ত্যোদয় পরিবার মাসে ৩৫ কেজি করে চাল-গম বিনা পয়সায় পায় | পরিবারে একজন বা দু’জন সদস্য থাকলেও একই পরিমান রেশন দেওয়া হয় | এর সঙ্গে পরিবার পিছু ৫০০ গ্রাম করে চিনি দেওয়া হয় | চিনির জন্য অবশ্য প্রতি কেজি চিনির জন্য আলাদা করে ১৩ টাকা ৫০ পয়সা হারে দাম দিতে হয় |
খাদ্যদপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখন রাজ্যে অন্ত্যোদয় রেশন গ্রাহক পরিবারের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০৬ জন | এই পরিবারগুলোতে মোট ৫৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৪৩ জন সদস্য আছে | দেশের প্রতি রাজ্যে কত সংখ্যক মানুষ জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আসবেন তা ঠিক করে দেওয়া হয়েছিল ২০১৩ সালে | কেন্দ্র সরকার এই কোটা ঠিক করে দেয় | কিন্তু তখন থেকে এখনো এই কোটাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি, কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে বহু মানুষ বিভিন্ন কারণে মারা যাবার জন্য এই জায়গা ফাঁকা হয়ে যায় | এই সমস্ত ফাঁকা জায়গা পূরণ করার জন্য রাজ্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে