ভোটের সামনেই কেন সি এ এ প্রশ্ন মমতার, মোদিকে আক্রমণ মমতার
বহুদিন ধরেই জল্পনা শোনা যাচ্ছিলো, দেশে চালু হবে সি এ এ এবার সেই জল্পনাতে মোহর দিলো কেন্দ্র সরকার | সোমবারই আনুষ্ঠানিকভাবে সারাদেশে লাগু হলো বিতর্কিত আইন (ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন ) | দ্বিতীয়বার মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর এই আইনটি পাশ করিয়েছিলেন তখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন রামনাথ কোবিন্দ | তখন থেকে সাড়ে চার বছর ধরে এই আইনটি দেশে লাগু না হওয়ার জন্য অনেকের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়েছিল কিন্তু দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সারাদেশে জারি হলো এই সিএএ আইনটি | অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিলো যে এই আইনটি মোদী সরকার চালু করতে পারে |
এই আইনের বিরোধিতা করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, পাশাপাশি অন্য বিরোধী নেতা ও নেত্রীরাও এই আইনের বিরোধিতা করেছে | ইতি মধ্যেই এই আইনের জন্য ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে | এর জন্য নতুন ekti পোর্টালও খোলা হয়েছে | এখানে আপনি অনলাইন আবেদন করতে পারেন | ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যারা ভারতে এসেছেন তারাই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন অর্থাৎ কমপক্ষে আপনাকে ভারতে আপনি ৬ বছর থেকে আছেন সেটাই আপনাকে প্রমান করতে হবে | কমপক্ষে ৬ বছর আপনাকে ভারতে বসবাস করতে হবে | দিন থেকেই কিছু মানুষের মধ্যে ভয়ের আতঙ্ক শুরু হয়েছে যে তারা এখন ভারতে থাকতে পারবেন কিনা | আসলে সিএএ ভারতের কোনো মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেই না নাগরিকত্ব দেয় তাই এখানে ভয়ের কিছু নেই | মমতার অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মানুষকে ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করার জন্য বিজেপি এই চক্রান্ত করেছে | দেশে সিএএ করার উদ্দেশ্য কি ?
কেন সিএএ নিয়ে এতো বিরোধিতা, আসলে এই আইনটি শুমাত্র দেশের বাইরের মানুষের জন্য যারা ভারতের নয় অন্য দেশ থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছেন, বিশেষ করে বাংলাদেশ,পাকিস্তান,আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু,বৈদ্ধ,যৌন,পারসী ও খ্রিষ্টানদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্যই এই আইনটি পাশ করানো হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর কিন্তু এতদিন বিরোধিতার পর ১১ মার্চ সারাদেশে সরকারিভাবে চালু হলো এই আইনটি | ভারতের নাগরিকত্ব নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে আপনাকে আবেদন করতে হবে | আবেদন করার সময় আপনাকে ৫০ taka অনলাইন চালান কাটতে হবে | তারপর সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে তবেই আপনাকে ভারতের নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে | ভারতের কারো এই আইন নিয়ে ভয়ের কিছু নেই |
good
Vuv
Very good