উচ্চমাধ্যমিক বোর্ড বিজ্ঞপ্তি দিচ্ছে শীগ্রই,পাশ দুটি সেমেস্টারেই হতে হবে
বহুদিন ধরেই জল্পনা চলছিল সরকারের অন্দরে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ধরণ বদলে ফেলা হবে কিন্তু বিভিন্ন মতামতের কারণে তা দেরি হচ্ছিলো | কিছু দিন আগেই উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আর থাকছে না, সেটা হবে সেমেস্টার ভিত্তিক পরীক্ষা কিন্তু তাতেও বিভিন্ন শিক্ষামহলের আপত্তি আগের ঘোষণা অনুযায়ী এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর দুটি মিলিয়ে তার জন্য সিলেবাস তৈরী হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যে | আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ছাত্র বা ছাত্রীকে যে কোনো একটি সেমিস্টারে পাশ হলেই হবে কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষক মহলের আপত্তিতে তা আবার বদল করা দেওয়া হয় | এবার নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শুধু একটি সেমিস্টারে নয় দুটি সেমিস্টারে নুন্যতম পাশ নম্বর তুলতেই হবে | দুটি সেমিস্টারে পাশ নাম্বার তুলতে না পারলে ছাত্রছাত্রীকে ফেল বলে ধরা হবে | এটাই বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ফাইনাল সিদ্ধান্ত |
কারণ আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক মহলে আপত্তি ওঠে তাদের বক্তব্য, কোনো ছাত্ররের প্রথম সেমেস্টারেই পাশ নাম্বার উঠে গেলেই তার আর দ্বিতীয় সেমেস্টার নিয়ে গুরুত্ব থাকতে না তাই দুটি সেমেস্টারেই গুরুত্ব রাখার জন্য দুটি সেমেস্টারেই পাশ নাম্বার রাখার দাবি জানিয়েছে শিক্ষমহলের সংগঠন | নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম সেমিস্টারে এম সি কিউ ধরণের প্রশ্ন থাকবে, ও এম শিটে পরীক্ষা হবে | মূল্যায়নের এই ব্যবস্থা থাকলে প্রথম সেমিস্টারে ব্যাপক ‘হল কালেকশন’ হবে এর আশঙ্কা করছিলেন শিক্ষকরা | উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, বিভিন্ন মহলের আপত্তিতে তার আগের মূল্যায়ন বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে | এই নিয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে |
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুটি সেমেস্টারকেই পৃথকভাবে ধরাই মোট বিশেষজ্ঞদের | একটি পরীক্ষাকেই দুটিভাবে ভাগ করা হয়েছে, আদর্শ সেমেস্টার পদ্ধতিতে প্রতি ক্ষেত্রেই ছাত্র ছাত্রীদের পাশ করতে হবে | তবে প্রজেক্ট কিন্তু এই সেমেস্টার পদ্ধতিতেও থাকছে | সংসদ অবশ্যই বলেছে আগের সিদ্ধান্ত যে বদল হবেই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না | যদিও সিদ্ধান্ত যাইহোক এই মাসের চলতি সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হবে | শিক্ষকরা অবশ্য আশাবাদী আগের ঘোষিত সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে শিক্ষা সংসদ | কারণ মৌখিক ঘোষণা করলেও তারা কিন্তু এখনো এসেসমেন্ট ও ইভালুয়েশন পদ্ধতি নিয়ে কোনো ঘোষণা করেনি | ফলে আগের পদ্ধতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছে শিক্ষা মহল |