এই এক দেশ এক ভোট করা নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে, বিরোধীরা অনেক এর বিরোধ করেছিল কিন্তু আবার একবার এই এক দেশ এক ভোটের খবর এলো, লোকসভা নির্বাচনের মাস সাতেক আগে আবার ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকরের লক্ষ্যে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি গঠন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার | লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট জমা দিলো, ‘এক দেশ এক নীতি’ কর্যকর করার লক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদী সরকারের গোড়া কমিটি | ওই কমিটির প্রধান তথা প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে রিপোর্ট তুলে দেন |
সেখানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ- সহ কমিটির অন্য সদস্যরা | চলতি সপ্তাহেই লোকসভার নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর | রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন এই পদক্ষেপ ঘিরে আবারো নতুন করে বিতর্ক হওয়ার সম্ভাবনা আছে | কারণ, কংগ্রেস,তৃণমূল,সিপিএম সহ বিরোধী দলগুলি গোড়া থেকেই ‘এক দেশ এক ভোট’ পদ্ধতির সমালোচনা করেছেন | তাদের মতে, এই নীতি নিয়ে মোদী সরকার ঘুরপথে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ধাঁচের ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে | এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংসদীয় গণতান্ত্রিক ভাবনার পরিপন্থী বলেও বিরোধীদের অভিযোগ | বিশেষ করে বিজেপি বিরোধী দলগুলির আশঙ্কা, ‘এক দেশ এক ভোট’ নীতি কার্যকর হলে লোকসভার ‘ঢেইয়ে’ ‘বিধানসভাগুলি ‘ভেসে যাবে’ |
বিজেপির আগ্রাসীর প্রচারে তা ভেঙে পড়বে | রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,বিজেপির অঙ্ক হলো, শুধু লোকসভা ভোট বিরোধী দলগুলির পক্ষে আসন সমঝোতা করা সহজ হবে | কিন্তু একইসঙ্গে বিধানসভা ভোট জুড়ে দিতে পারলে কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগী আঞ্চলিক দলগুলির বিরোধ অনিবার্য | বিরোধীদের একাংশের দাবি বিজেপি এক নায়কতন্ত্র চালু করতে চাইছে দেশে | এটা একটা বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি করছে সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলি | ঘটনাচক্রে,সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ সংক্রান্ত মামলায় ধাপে ধাপে উপত্যকার পঞ্চায়েত থেকে বিধানসভার ভোটের আয়োজনের কথা বলেছে মোদী সরকার | তা ছাড়া, ‘এক দেশ এক ভোট’ ব্যবস্থা চালুর পরে কেন্দ্রে বা কোনও রাজ্যে পাঁচ বছরের আগেই নির্বাচিত সরকার পরে গেলে কি হবে, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও |